রাতের অন্ধকারে বোমাবাজী , বাড়ি ভাঙচুর : উত্তেজনা এলাকায়

30th May 2021 12:05 pm বাঁকুড়া
রাতের অন্ধকারে বোমাবাজী , বাড়ি ভাঙচুর : উত্তেজনা এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম। রাতের অন্ধকারে গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি ও আটটি বাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠলো দূস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রামে পৌঁছে একটি বোমা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ র ১ আগষ্ট খুন হন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান, উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, তৃণমূল নেতা বাবর আলি শেখ। আর ঐ ঘটনায় নাম জড়ায় বর্তমান প্রধানের স্বামীর। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মৃত বাবর আলি শেখের মেয়ে মামনি খাতুনের দাবি, বাবাকে খুনের ঘটনা দেখেছিল ভাই। তাই ভাইকে সরিয়ে দিতেই এই আক্রমণ বলে তিনি দাবি করেন। 

স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ সাবের আলি বলেন, গত বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে আমরা হেরে গেছি। আগে যারা সিপিআইএম করতো সেলিম পালোয়ান সহ অন্যান্যরা এখন তারাই বিজেপিতে নাম লিখিয়ে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে তিনি দাবি করেন।

বিষ্ণুপুর ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সেলিম পালোয়ানের দাবি, তিনি ঐ ঘটনায় যুক্ত নন। তিনি বিজেপিতে কখনোই যাননি। দায়িত্বশীল তৃণমূল কর্মী হিসেবেই তিনি কাজ করছেন বলে জানান।

জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিস্তারিত জেনে এবিষয়ে মন্তব্য করবেন বলে জানান।

এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহলদারি শুরু করু করেছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।